
আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহাকারী তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদেরকে ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশকিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১. ডিভাইসের প্রাইভেসি সেটিংস
যেকোন অসাধু সাইট ডিভাইসের সমস্ত তথ্য জানতে চায় মার্কেটিং পলিসি বা বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য। সেক্ষেত্রে তৎপর হতে হবে, যাতে প্রতারকের খপ্পরে পড়তে না হয়। ডিভাইসের সমস্ত প্রাইভেসি সেটিংস অন করে রাখতে হবে, যাতে যেকোন সোর্স ল্যাপটপ বা মোবাইলের গোপন তথ্য অ্যাক্সেস করতে না পারে।
২. সেইফ ব্রাউজিং
বুঝে-শুনে যেমন বিপজ্জনক রাস্তায় পা বাড়াবেন না, তেমনই না জেনে-শুনে কখনই কোন সন্দেহজনক সাইটে ব্রাউজিং করবেন না। সাইবার প্রতারকরা অনেক বেশি জ্ঞানী। সকল মানুষ অফারের লোভে বিজ্ঞাপন দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে সেসব সাইটে প্রবেশ করেন। আর সাইবার অপরাধীদের তৈরিকৃত ফাদে পড়ে মুহুর্তে সব শেষ হয়ে যেতে পারে। ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে নিতে পারে প্রতারকরা, এমনকি ডিভাইসে ভাইরাস ঢুকিয়ে দিতে পারে।
৩. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার
যেসব সাইটে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়া প্রোফাইলসহ সকল কিছুতে জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। কখনও ফোন নাম্বার, জন্মতারিখ, নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড বানাবেন না। বিভিন্ন ক্যারেক্টারের সংমিশ্রণে একটি জটিল, শক্তিশালী এবং ভিন্ন প্রোফাএলর বিভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এতে অনাইন সম্পদ সুরক্ষিত থাকবে।
৪. সুরক্ষিত ওয়াই-ফাই বা ভিপিএন নেটওয়ার্ক
ডিভাইস কোন ওয়াইফাই বা ভিপিএন-এর সঙ্গে কানেক্টেড থাকে, তাহলে সেই নেটওয়ার্ক অথেন্টিক কিনা যাচাই করুন। কারণ বেশ কিছু লোকাল বা প্রাইভেট নেটওয়ার্ক নির্দিষ্ট এন্ড পয়েন্টের বাইরে গিয়ে আউটসাইট নেটওয়ার্ক মেশে; আর তখন ইন্টারনেটের সব তথ্য খুব সহজেই বিনিময় হতে পারে কিংবা ডিভাইসে ওয়ার্ম-ও ঢুকতে পারে।
৫. দেখে-শুনে ডাউনলোড করুন
ডাউনলোড করা ফাইল ম্যালওয়্যারযুক্ত কিনা নিশ্চিত হতে হবে। যদি ম্যালওয়্যারযুক্ত ফাইল ডাউনলোড হয় তাহলে ডিভাইসে খুব সহজেই ভাইরাস ছড়াতে পারে। নিমেষেই আপনার গোপন তথ্য চুরি হতে পারে।
৬. ডিভাইসে অ্যান্টিভাইরাস আপডেট রাখতে হবে
ডিভাইসে অ্যান্টিভাইরাস ফাংশন সবসময় অ্যাক্টিভ ও আপডেট রাখতে হবে। অ্যান্টিভাইরাস ইন্টারনেট ব্যবহার সুরক্ষিত করে, ম্যালওয়্যার ডিটেক্ট এবং রিমুভও করে। ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম যে যে অ্যাপ্লিকেশন আপডেট করার সাজেশন দেবে, সেগুলো নিয়মিত আপডেট রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে সুরক্ষিত ইন্টারনেট মানে সুরক্ষিত তথ্য আর সুরক্ষিত তথ্য মানেই সুরক্ষিত গোপনীয়তা।
তাই সতর্ক থাকুন এবং সুরক্ষিত থাকুন।